ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ভারতীয়দের ধর্মঘট প্রত্যাহার, সচল হল বেনাপোল বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২

ভারতীয়দের ধর্মঘট প্রত্যাহার, সচল হল বেনাপোল বন্দর
টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে চালু হল আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

পেট্রাপোল বন্দরে পরিবহণ শ্রমিকসহ আটটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিএসএফ ও পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়। এরপর বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেয় সংগঠনগুলো। শুক্রবার বন্দর ববন্ধ থাকায় শনিবার থেকে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।

বিএসএফের হয়রানি, বন্দর অভ্যন্তরে বৈধ প্রবেশ ছাড়া প্রবেশ করতে না দেওয়া, ৬ মাসের মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির কাগজ বৈধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে  গত ৩১ জানুয়ারি থেকে টানা পাঁচদিন পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে। 
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, গত বুধবার শুল্ক দফতরের সঙ্গে কলকাতাতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা বৈঠকে ক্লিয়ারিং এজেন্টরা তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শুল্ক দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে বিভিন্ন সংগঠনের দাবি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানান। এরপরই বৃহস্পতিবার দুপুরে পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে একটি নোটিশ জারি করে পূর্বের নির্দেশনার সময় বর্ধিত করেন।

এ ব্যাপারে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাহানি জানান, সম্প্রতি এ সীমান্তে বহিঃবাণিজ্যের ট্রাক থেকে সোনা, ডলার, গাঁজা, জাল লাইসেন্স উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এরপর থেকে কেন্দ্র সরকার দেশের স্বার্থে সীমান্তে কিছু নিয়ম জারি করার নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাক চালকসহ অন্যদের কমন আই কার্ড চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সমস্ত সংগঠনকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাতে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত গাড়ির কাগজ নবায়ন করা হয়নি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো ট্রাক চালকসহ অন্যদের কমন আই কার্ড না হলেও আগামী একমাস পূর্বের নিয়মে আমদানি-রফতানি চালু রাখতে ট্রাক রাখার জায়গায় ট্রাক চালক এবং খালাসিদের প্রবেশে তাদের সঙ্গে আপাতত আধার কার্ড বা ভোটারকার্ড সঙ্গে রাখলেই হবে। 

তিনি আরও বলেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে সীমান্ত বাণিজ্যে দ্রুতগতি আনার অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী বেশির ভাগ সংগঠনই শনিবার থেকে সম্পূর্ণভাবে আমদানি-রফতানি শুরু করার কথা বলে আশ্বস্থ করলে ধর্মঘটকারীরা শনিবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেন।