ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড

সাদনান তাজ আপন,স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: শনিবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২

দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড
টানা এক সপ্তাহ মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার পর দিনাজপুরে আবারও বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে।
একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বৃষ্টির পর কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। হিমেল হাওয়ার গতিবেগ বাড়ায় মাঘের কনকনে শীতে ব্যাহত দিনাজপুরের জীবনযাত্রা। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত গর্জনের সাথে অনবরত বৃষ্টি ঝরছিল। পরে থেমে আসছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের।

শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৪০.৩ মিলিমিটার এবং সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং কনকনে শীত অনুভূত হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়। 
 
শুক্রবার দিনভর মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টিতে এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। রাস্তায় বা বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। রাস্তায় যানবাহনও কম ছিল। বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিকালের পর থেকেই হিমেল হাওয়ায় হাড় কাপাঁনো শীত বাড়তে থাকে। ঠান্ডায় সকালে এবং সন্ধ্যার পর মানুষের চলাচল একেবারে কমে যায়। বৃষ্টিসহ বাতাসে গম, বোরো বীজতলা, আলু, সবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। শহরের অনেক স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। 

সদরের ঝাঞ্জিরার কৃষক দবিরুল ইসলাম জানান, বাতাসসহ বৃষ্টিপাতে আলু, গম আর বোরো বীজতলার ক্ষতি হবে। ক্ষেতে পানি জমে আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠে কাজ করাই যাচ্ছে না। কনকনে শীতে হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। 

শশরা এলাকার কৃষক আলী আকবর জানান, সকালে বিরূপ আবহাওয়ায় জমিতে কাজে যেতে পারি নাই। বাতাস বেশি হওয়ায় এবং বৃষ্টিতে ক্ষেতে সরিষার ফুল ঝরে পড়ছে। এতে ফলন কমে যাওয়ায় আশঙ্কায় আছি। 

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৪০.৩ মিলিমিটার। সকালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫-৮ কিলোমিটার। মাঝে মাঝে ঝটকা আকারে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে ১৪-১৬ কিলোমিটার বেগে ধাবিত হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে এবং বাতাসের আদ্রতা ও গতিবেগের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা আরও  হ্রাস পাবে বলে জানান তিনি। 

তিনি আরও জানান, দিনাজপুরসহ সৈয়দপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ ও ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে।