ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ের দুটি লকারের পাসওয়ার্ড না পেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি লকার ভাঙা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনায় গঠিত বোর্ডের পাঁচ সদস্যই এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বোর্ড চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বিকাল ৫টার দিকে ধানমন্ডি ইভ্যালির কার্যালয়ের দুটি লকার ভাঙা শেষে সাংবাদিকদের হতাশার কথা জানান।
তিনি বলেন, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি লকারে ভাঙা হয়। আপনারা সবাই দেখেছেন সেখানে কী কী পাওয়া গেছে। আমরা অবশ্যই হতাশ। আমরা আশা করেছিলাম, এখানে অনেকগুলো টাকা পাওয়া যাবে। যেহেতু সিন্দুক, সিন্দুকে টাকাই থাকে। কিন্তু আমরা সেখানেই ২ হাজার ৫৩০ টাকার মত পেয়েছি যে কারণে আমরা হতাশ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, ওপরে প্রথম লকার ভাঙা হয়। সেখানে আমরা পেয়েছি ১০৭টি চেকবই। সেখানে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি আর নিচতলার লকার ভাঙার পর সেখানে আমরা অনেকগুলো চেকবই পেয়েছি। যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো সই করা পেয়েছি। আর মাত্র ২ হাজার ৫শ ৩০ টাকা পেয়েছি। কতগুলো ইনভিলাপে টাকা ছিল বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু সেগুলো ছেঁড়া। ধারণা করছি, সেখান থেকে টাকা বের করা হয়েছে। ভেবেছিলাম জরুরি প্রয়োজনে মেটাতেও অন্তত লকারে কিছু টাকা থাকবে। কিন্তু আমরা পাইনি। সে অর্থে আমরা নিরাশ হয়েছি।
অনেক ট্রানজেকশন এবং হিউজ টাকার ট্রানজেকশন হয়েছে। তাছাড়া এই ইভ্যালির হাজার হাজার কাগজ বিভিন্ন অফিসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেগুলো অডিট করতে সময় ও বেগ দুটোই পেতে হবে।
আদালতের নির্দেশে এই কোম্পানির দায়িত্ব নেওয়ার পরে ৩০ জন লোকবল নিয়োগ দিয়েছে এর মধ্যে ১৫ জন হচ্ছে নিরাপত্তা কর্মী। সাভারের তিন গোডাউনের নিরাপত্তায় ১৫ জন আর এই অফিসে ১৫জন। এরমধ্যে চারজন একাউন্টেন্ট। কারণ অডিট কার্যক্রমে রসদ দিতে হবে। আদালত গঠিত বোর্ড সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি রেজাউল আহসান, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, এফসিএ অ্যান্ড এফসিএমএর সাবেক চিফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং বোর্ডের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এছাড়া উপস্থিত রয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।