Can't found in the image content. তীব্র শীত এবং ওমিক্রন: আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

তীব্র শীত এবং ওমিক্রন: আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, জানুয়ারী ২৯, ২০২২

তীব্র শীত এবং ওমিক্রন: আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা
দেশের বর্তমান অবস্থায় পরিচিত দুটি শব্দ 'তীব্র শীত' এবং ওমিক্রন। সকাল হলেই কর্মজীবী মানুষের অফিস বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নেয় আবহাওয়ার দিকে, দেখে নেয় শীতের তীব্রতা কত। তারপর এই তীব্র শীতের মধ্যে গরম কাপড় পরে প্রস্তুতি নিয়ে কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অন্যদিকে বিকেলের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার আপডেট পেতে টিভি, মোবাইল ফোন নিয়ে বসে থাকে মানুষ। আজকে দেশে কতজন মারা গেলো, শনাক্ত হলো কতজন -এর ওপর নির্ভর করে এখন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার সচেতনতা। হু হু করে শীত বাড়ছে এবং বাড়বে, আবহাওয়া অফিসও তাই বলছে। গতকাল করোনায় শনাক্তের হার রেকর্ড করলেও, নেই সতর্কতা।

'তীব্র ঠাণ্ডা' আর করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' সংক্রমণের উপসর্গ যেন দুই ভাই। তীব্র ঠাণ্ডা এবং ওমিক্রনের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে এক যোগসূত্র। যদিও বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন কিন্তু প্রাথমিকভাবে দেখা যায় শীতের তীব্রতার সাথে করোনাভাইরাসের একটি সম্পর্ক রয়েছে। আজকে আমাদের প্রতিবেদনে 'তীব্র শীত' এবং ওমিক্রন থেকে মুক্ত থাকা নিয়েই আলোচনা করবো।

সারাদেশে শীতের তীব্রতায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। গতকালও রাজধানীর ঢাকায়  তীব্র শীত ছিলো পাশাপাশি ছিলো দমকা হাওয়া। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২১.৬ ডিগ্রী সে. এবং সর্বনিম্ন ১৩.০ ডিগ্রী সে.। এই সময় মানুষের সর্দি-কাশি, টনসিলাইটিস, নিউমোনিয়া সহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট, আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা, হার্টের সমস্যার প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, ব্রংকিওলাইটিসসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এদিকে ওমিক্রন খুব দ্রুত সংক্রমিত হয় এবং ছড়ায় জন্য এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বহুগুণ। ওমিক্রনে আক্রান্তদের উপসর্গগুলি যেমন- গলা ব্যথা, সর্দি নাক কিংবা বন্ধ নাক, মাথাব্যথা, হাঁচি, চোখ ছলছল করা ইত্যাদি। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই একই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হই শীতকালে।

শীতের তীব্রতায় এবং ওমিক্রন থেকে বাঁচতে হলে আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজন একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা। এ সময় সবার উচিত কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা। এতে শ্বাসনালীতে মিউকাস তৈরি হয়ে রোগজীবাণু বের হয়ে যায়। এ ছাড়া গোসল ও অন্যান্য কাজে গরম পানি ব্যবহার করাই উত্তম। পরিবারের কেউ ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যদেরও সাবধান থাকতে হবে। বিশেষ করে হাঁচি-কাশির সময় মুখে রুমাল ব্যবহার করতে হবে এবং সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।

এমনিতেই জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনীহা, এরপরে যদি এই তীব্র শীতেও যদি না মেনে চলে তাহলে আরো বেড়ে যেতে পারে ওমিক্রনের তাণ্ডব। বাড়বে শনাক্তের হার এবং এর প্রভাব পড়বে ব্যক্তিগত, সামাজিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক ইত্যাদি দিকে। শীত এবং ওমিক্রনের সম্মিলিত প্রভাবে মৃত্যুর সংখ্যাও এখন বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমাদের অসেচতনতাই হতে পারে আমাদেরকে এবং পরিবারের প্রিয়জনদের মৃত্যুর মুখে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ।