শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং চলমান সংকট নিরসনে সিলেটে এসে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলার ঘটনায় আহত এবং অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব খরচ পরিশোধ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’ স্লোগানে আলপনা আঁকেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী সামিউল এহসান শাফিন এবং মোহাইমিনুল বাশার রাজ।
তারা বলেন, ১৬ জানুয়ারির পুলিশি হামলার ঘটনায় আহত এবং অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব খরচ পরিশোধ করায় আমরা প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুলিশের হামলার ঘটনায় আহত সজল কুন্ডুর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের মূল দাবিসহ অনান্য দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সব শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার এবং আলোচনার জন্য ক্যাম্পাসে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়ে তারা বলেন, মন্ত্রী ক্যাম্পাসে আসার এবং একই সঙ্গে আমাদের বিষয় ও আমাদের ক্যাম্পাস নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। একই সঙ্গে আমরা শাবি ক্যাম্পাসে তাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা তাকে জানাতে চাই আমরা তার সঙ্গে আমাদের দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আমরা আশা করব তিনি দ্রুতই আমাদের ক্যাম্পাসে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন। একই সঙ্গে আমরা এটাও আশা করছি যে, ইতোমধ্যে আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য ব্যাপারে যেসব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেগুলোও দ্রুত পূরণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলন চলবে। আমরা এখন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন আলপনা আঁকার মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাব।