ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ১৭, ২০২১
রাজধানীর
চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচিতে পুলিশ
গুলি করে, লাঠিপেটা করে
অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আহত
করেছে বলে দাবি করেছেন
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ ঘটনার
তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
আজ
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে
শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে
এ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল
ইসলাম।
আজ
বেলা ১১টার দিকে বিএনপির নবগঠিত
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির
নেতাদের নিয়ে মির্জা ফখরুল
ইসলামের নেতৃত্বে চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর
রহমানের কবর জিয়ারত ও
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর
কর্মসূচি ছিল। এ উপলক্ষে
সকাল ১০টার পর থেকেই উদ্যানের
আশপাশে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো
হতে থাকেন। বেলা পৌনে ১১টার
দিকে সেখানে নেতা কর্মীদের সঙ্গে
পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের
রাবার বুলেট ও লাঠিপেটায় প্রায়
অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত
হয়েছেন বলে বিএনপির নেতারা
দাবি করেন।
হট্টগোলের
মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের
ওপর চড়াও হয়েছেন—এমন
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা
অভিযোগ। শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচি, নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে এসেছে
এবং জিয়ারত করবে, সেখানে উসকানির তো প্রশ্নই উঠতে
পারে না।’
মির্জা
ফখরুল ইসলাম বলেন, নেতা–কর্মীরা শত
বাধা উপেক্ষা করে আজ এখানে
উপস্থিত হয়েছেন, শেষ পর্যন্ত জিয়ারত
করেছেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ
করেছেন। এ সরকারের পায়ের
তলায় মাটি নেই, তারা
সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ
জন্যই তারা পুলিশ দিয়ে
নির্যাতন করে, গুলি করে,
লাঠিপেটা করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে
দমন করে রাখতে চায়।
মির্জা
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা
বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ
আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ
সরকারকে পরাজিত করা সম্ভব হবে
এবং আমাদের ঢাকা উত্তর ও
দক্ষিণ কমিটি সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব
দেবে। এ প্রত্যাশা আমরা
করি। আমরা আবারও সরকার
ও পুলিশের এহেন নির্যাতনের তীব্র
নিন্দা জানাচ্ছি।’
ঘটনার
বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানা ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম
মুন্সি প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। আগেও তাঁরা
এখানে এসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন,
কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু আজ বিএনপি নেতা
আমানউল্লাহ আমানের পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল কয়েকজন এসে হট্টগোল শুরু
করে পুলিশের ওপর চড়াও হন।
এতে ৮ থেকে ১০
জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ
শেষ হওয়ার পর মির্জা ফখরুল
ইসলাম উদ্যানে জিয়াউর রহমানে সমাধিস্থলে যান। বেলা ১১টা
৫০ মিনিটে এরপর তিনি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের
কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
জানান। এ সময় বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্যসচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক
আবদুস সালাম, সদস্যসচিব রফিকুল আলমসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আমানউল্লাহ
আমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের পূর্বঘোষিত
কর্মসূচি ছিল এবং পুলিশকে
অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু
পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা
করেছে, গুলি করেছে। আমাদের
সদস্যসচিব আমিনুল হককে গুলি করে
রক্তাক্ত করেছে।’ আমিনুল হককে ঢাকার একটি
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে
তাঁর এক সহকর্মী প্রথম
আলোকে জানান।
এদিকে
ঘটনার বিষয়ে আজ বেলা দুইটায়
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।