পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে গত ১০ বছরে ৬০০ জন মিসিং (নিখোঁজ) হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ মিসিং হয়। তো এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুর ছয়হারা ইসলামিয়া আরবিয়া মাদরাসা, সৈয়দ মনোহর আলী অষ্টগ্রাম মহাবিদ্যালয়, শিরিলব চৌধুরী চাইল্ড কিন্ডারগার্টেন পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) জানাবো, হয়তো ঠিকমতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ, অনেকে একতরফা তথ্য পেয়েছে। যারা ওদের পছন্দ করে না। সব দেশেই ল এনফোর্সিং এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল, এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেসে সেটির তদন্ত হয়।
র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা জানেন, দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিল, সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেসে বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়। আর এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা। তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ইউএসএ (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের শিখিয়েছে তাদের রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট-কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারগেশন। এগুলো সব কিছু শিখিয়েছে আমেরিকা। তাদের রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, কোনো উইকনেস থাকে, যদি কোনো হিউম্যান রাইট ভায়োলেট হয়, অবশ্যই নতুন করে (র্যাবের) ট্রেনিং হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের র্যাব কাজেকর্মে অত্যন্ত দক্ষ। তারা খুব ইফেক্টিভ, ভেরি ইফিশিয়েন্ট, তারা করাপ্ট নয়। এজন্যই তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমাদের দেশের সন্ত্রাসী তাদের কারণেই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলি আর্টিসানের পর আর কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র্যাবের কারণে। স্বয়ং ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট সেটা স্বীকার করেছে।
কিছু লোক যারা আইনশৃঙ্খলা পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করে তারাই র্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ, র্যাব তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটা খুবই দুঃখজনক।