ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্যসেন হল থেকে পিস্তলসহ এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ সোপর্দ করেছে হল প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে হলের ১০২ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে পিস্তলসহ তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের ওই কর্মী দোকানদারকে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়েছেন। এরপর সেই দোকানীর কাছ থেকে চাঁদাও নিয়েছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালায় হল প্রশাসন। ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয় এবং তার কক্ষ থেকে পিস্তল, হকি স্টিক ও রড উদ্ধার করা হয়। কিন্তু থানায় নেওয়ার পর জানা গেল, পিস্তলটি আসলে খেলনা।
আটককৃত আল আমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে ২০১৪-১৫ সেশনে ভর্তি হলেও ছাত্রত্ব ধরে রাখতে পারেনি। আল আমিন আসন্ন ছাত্রলীগের হল কমিটিতে পদপ্রত্যাশী ছিলেন। অস্ত্র ঠেকিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির তথ্যের ভিত্তিতে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, আল আমিন খান রিজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। সে ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেট পরিচয় দিয়ে হলের আশপাশের দোকান থেকে চাঁদাবাজি করতো। কয়েকদিন ধরে সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। হলের দোকানদারদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা আদায় করতো। পরে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন তাকে আটক করে।
সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা হল প্রশাসন সব সময় হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সোচ্চার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই আমরা হল প্রশাসন তার রুমে অভিযান চালিয়ে তার রুম থেকে একটি পিস্তল, হকিস্টিক, রডসহ তাকে আটক করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী আটকের পর তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, হল প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। এখন তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।