ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন যারা

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ১৬, ২০২১

পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন যারা

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের জন্য এক দুর্যোগের দিন। আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের সংকটের দিন। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর অস্তিত্বের সংকটে পড়ে দলটি। দলের ভেতর থেকে অনেকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, অনেকের হতবিহবল হয়েছিলেন। কেউ বিশ্বাসঘাতকতার কারণে দল ত্যাগ করেছিলেন আর কেউ ভীতু কাপুরুষের মত দল ত্যাগ করেছিলেন। এরকম আওয়ামী লীগ ত্যাগের তালিকা অনেক দীর্ঘ। তবে এখনো রাজনীতিতে আলোচিত এরকম কয়েকজনকে নিয়ে এই প্রতিবেদন। 

কে এম ওবায়দুর রহমান: কে এম ওবায়দুর রহমান ছিলেন খুনি মোশতাকের অন্যতম সহযোগী। তাকে জেল হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারীও মনে করা হয়। কিন্তু আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে কে এম ওবায়দুর রহমান বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বিএনপি`র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। বিএনপি`র মহাসচিব ছিলেন। কিন্তু শেষ জীবনে তিনি বিএনপিও করতে পারেন নাই। রাজনীতিতে একজন পরিত্যক্ত মানুষ হিসেবেই তার জীবনাবসান হয়।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন: শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন খুনি মোশতাকের অন্যতম সহযোগী। তিনি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়। খুনি মোশতাক সরকার গঠন করার পর শাহ মোয়াজ্জেম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর শাহ মোয়াজ্জেম আর আওয়ামী লীগ করেননি। পরবর্তীতে শাহ মোয়াজ্জেম নানা ঘাটে পানি খেয়ে এখন বিএনপিতে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন।

শেখ শহীদুল ইসলাম: শেখ শহীদুল ইসলাম পঁচাত্তরের সময় তরুন যুব নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের পরে তিনি আর আওয়ামী লীগে থাকতে পারেননি নানা বাস্তবতায়। পরবর্তীতে তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে সফলতা সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখন তিনি জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে তাকে ছিটকে দেয়। একসময় তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা হিসেবে রাজনীতি করছেন। 

কাজী ফিরোজ রশীদ: কাজী ফিরোজ রশীদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ আরেকজন তরুন যুব নেতা ছিলেন। সেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর নানা রকম রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে কাজী ফিরোজ রশীদ জাতীয় পার্টিতে চলে যান। এখন তিনি জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা এবং জাতীয় সংসদে রয়েছেন।

ফজলুর রহমান পটল: ফজলুর রহমান পটল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের নেতা ছিলেন। খুনি মোশতাকের সঙ্গে তার যোগসাজশের খবর পাওয়া যায়। এরপর তিনি যোগ দেন বিএনপিতে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপিতেই ছিলেন। 

আওয়ামী লীগে এরকম বহু নেতা আছেন যারা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের দুঃসহ সময়ের সহযাত্রী হতে পারেননি। বরং নানা রকম বাস্তবতায় তারা বিভিন্ন দলে চলে গেছেন। এদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগে আবার ফিরে এসেছেন। কিন্তু অনেকেই ওইসব দলগুলোতে রয়েছেন। এদের মধ্যে যারা বিশ্বাসঘাতকদের সহযাত্রী ছিলেন তারা বাদে অন্যরা এখনো বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।