Can't found in the image content.
ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ১৫, ২০২১
আজ পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে ব্রিটেনে পাকিস্তান দূতাবাস এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফ্ল্যাগ হোস্টিং বা পতাকা উত্তোলন শিরোনামে এই অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন বৃটেনে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আহমেদ খান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় লন্ডনে বসবাসরত কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানি নাগরিক, বিভিন্ন দূতাবাসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং লন্ডনের কিছু বিশিষ্ট জনকে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি`র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। আনুষ্ঠানিকাতা শেষে তারেক জিয়ার সঙ্গে মোয়াজ্জেম আহমেদ খান একান্ত বৈঠক করেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের হাত রয়েছে এরকম কথা বিভিন্ন সময় পাকিস্তানেই প্রকাশিত হয়েছে। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের ঘটনার পর পাকিস্তানিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ার চিন্তা থেকে আইএসআই এর উদ্যোগে বিএনপি গঠিত হয়েছিল এবং বিএনপি যখনই যেকোনো রকম সংকটে পড়েছে তখনই পাকিস্তান বিশেষ করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করেছে।
এমনকি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন যে, ২০০১ এর নির্বাচনে তারা বিএনপিকে অর্থ সহায়তা করেছে। শুধু অর্থসহায়তা নয় পাকিস্তান বিএনপিকে বিভিন্ন সংকট থেকে উত্তরণ এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে পাকিস্তানের স্বার্থ সংরক্ষিত হয় বিএনপি`র মধ্য দিয়েই। কিন্তু গত এক যুগ ধরে বিএনপি নানা রকম ঝামেলার মধ্যে রয়েছে। একই সাথে পাকিস্তানও প্রচুর সংকটের মধ্যে আছে। আর এই দুই কারণেই বিএনপি`র প্রতি পাকিস্তান মনোযোগ দিতে পারেনি। অনেকেই মনে করেন যে, আইএসআইয়ের অভিভাবকত্ব না থাকার কারণেই বিএনপি`র অবস্থা আজকে এরকম হয়েছে। কারণ সব সময় আইএসআই বিএনপির নীতি নির্ধারণ করে থাকে এবং আইএসআইয়ের নির্দেশিত পথেই বিএনপি চলে থাকে।
একাধিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আইএসআইয়ের পরমার্শেই বিএনপি শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেনি। ৯১ এর নির্বাচনে বিএনপিকে জেতানোর ক্ষেত্রেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট যেনো বিএনপি জাতীয় শোক দিবস না করে এজন্য আইএসআইয়ের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ছিল এবং এই দিনটিকে এই দিনটিকে অন্য খাতে নেয়ার জন্যই আইএসআইয়ের পরামর্শেই খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করতেন। এখন পাকিস্তান মনে করছে যে, বাংলাদেশে তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য বিএনপিকে চাঙ্গা করতে হবে। আর এই চাঙ্গা করার ফর্মুলা হিসেবেই তারেক জিয়াকে পাকিস্তান দূতাবাসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে একাধিক সূত্র মনে করছে। পাকিস্তান এখন অভ্যন্তরীণ সংকটে জর্জরিত এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তবে ইমরান খানের কূটনৈতিক কৌশলে এখন পাকিস্তান চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি করেছে।
আর সেই সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই বিএনপিকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর সেজন্যই তারেক জিয়াকে পাকিস্তান দূতাবাসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন একাধিক সূত্র। তবে বিএনপিকে বাঁচাতে এবার পাকিস্তান কি ফর্মুলা দিয়েছে সে সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, যেহেতু তারেক জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের বৈঠক হয়েছে কাজেই এখন তারেক যে সমস্ত নির্দেশনাগুলো দল চালানোর ক্ষেত্রে দিবে সেই সমস্ত নির্দেশনাগুলোই আইএসআইয়ের নির্দেশনা হিসেবেই বুঝতে হবে এবং তাহলেই বোঝা যাবে যে, পাকিস্তান বিএনপিকে বাঁচাতে কি ফর্মুলা দিল।
সৌজন্য: বাংলাইনসাইডার