ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

কুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৪ জন আজীবন বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৬, ২০২২

কুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৪ জন আজীবন বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিজানসহ চার শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ৪৪ জন ছাত্রের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বুধবার ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

আজীবন বহিস্কার হওয়া অন্যরা হলেন, আবু হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মো. কামরুজ্জামান রাজ্জাক, রিয়াজ খান নিলয়।

জানা যায়, কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৪৪ শিক্ষার্থী শোকজের জবাব এবং ৪৪ পৃষ্ঠার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সভায় প্রদান করা হয়। কমিটির সভাপতি ও কুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত শনিবার এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ ছাত্রকে শোকজ করা হয়। তাদের ৩ জানুয়ারির মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। সিন্ডিকেট সভায় আজ তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
গত ৩০ নভেম্বর প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন মানসিক নিপীড়নের কারণে মারা যান বলে অভিযোগ পরিবারের। তার মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩ ডিসেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ ছাত্রকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অভিযোগ ওঠে, দাপ্তরিক কক্ষে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২৮ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে ৪৮ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষক মৃত্যুর তদন্ত কমিটি ৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত করেন। এ সময় শিক্ষকের পরিবারের চারজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ শিক্ষক, ৬৫  শিক্ষার্থী, ১৭ কর্মকর্তাসহ মোট ১২৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।