Can't found in the image content.
ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ১৪, ২০২১
স্বাধীনতার
মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী
আগামীকাল (১৫ আগস্ট) রোববার।
দিনটিতে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাব-গম্ভীর
পরিবেশে সারা দেশে ও
প্রবাসে জাতীয় শোক দিবস পালনের
উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
সরকারি
এক তথ্য বিবরণীতে জাতীয়
শোক দিবস পালনের উদ্দেশ্যে
বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে বলা হয়েছে।
কর্মসূচির
অংশ হিসেবে এ দিন সকল
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত
প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
সকাল
সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২
নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক
অর্পণ করবেন, সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান
করবে এবং মোনাজাত করা
হবে।
১৯৭৫
সালের ১৫ আগস্ট তারিখে
শাহাদতবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য শহীদদের
কবরে (ঢাকার বনানীস্থ কবরস্থানে) সকাল সাড়ে ৭টায়
পুষ্পস্তবক ও ফুলের পাপড়ি
অর্পণ এবং দোয়া ও
ফাতেহা পাঠ করা হবে।
এ
দিন সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক
পুষ্পস্তবক অর্পণ, সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান
এবং মোনাজাত ও বিশেষ দোয়া
মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সারা
দেশের মসজিদে বাদ যোহর বিশেষ
মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা,
প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনার
আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয়
শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ
বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন
বিভিন্ন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
জাতীয়
দৈনিক ও সাময়িকীতে ক্রোড়পত্র
প্রকাশ করা হবে। পোস্টার
মুদ্রণ ও বিতরণ এবং
বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র
প্রদর্শন করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বা গ্রোথ সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার
সাঁটানো ও এলইডি বোর্ডের
মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
শোক দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ
বিভাগ সকল মোবাইল গ্রাহককে
ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,
শিশু একাডেমি বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানের
অনুরোধের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর জাতীয় শোক দিবস ও
বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করবে।
বিভিন্ন
মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জাতীয়
কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব
কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।
সরকারি-বেসরকারি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়,
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ
অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, জাতীয় শোক
দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা
এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন
করবে।
জেলা
ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় শোক দিবস পালনের
জন্য সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আলোচনা সভা
ও দোয়া মাহফিল আয়োজন
এবং জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে
সঙ্গতি রেখে স্ব স্ব
কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে
হবে। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান
আয়োজনের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা
ও উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে হবে।
জেলা
ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচিতে জেলা পরিষদ ও
পৌরসভার অংশগ্রহণসহ দেশের সকল সিটি করপোরেশন,
পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের
জন্য জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে
সঙ্গতি রেখে স্ব স্ব
কর্মসূচি প্রণয়ন ও সামাজিক দূরত্ব
নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করবে।
বিদেশস্থ
বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং
আলোচনা সভার আয়োজন করা
হবে।