অভিযান–১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইঞ্জিনকক্ষের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও আবুল কালামকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে নৌ আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম এই আদেশ দেন।
এর আগে লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম নৌ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন।
তিনি বলেন, ইঞ্জিনচালকেরা কেবল দায়িত্বে অবহেলাই করেননি, আগুন লাগার পর তাদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর।
আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে বেল্লাল হোসাইন বলেন, ইঞ্জিনকক্ষের সার্বিক দায়িত্ব ইঞ্জিনচালকদের ওপর বর্তায়। ইঞ্জিনকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তারা যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তদারকি করে সঠিকভাবে ইঞ্জিনকক্ষ পরিচালনা করতেন, তাহলে হয়তো স্মরণকালের এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডি ঠেকানো যেত। কিন্তু তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আসামিরা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাধ্যমতো চেষ্টা করেও সফল হননি। এতে তাদের অবহেলা ছিল না।