বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ৩২ জেলায় করা সমাবেশ সফল হয়েছে দাবি করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এই সমাবেশ শেষ করেছি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগকে জনগণ এক মুহূর্ত দেখতে চায় না।
আজ রোববার (২ জানুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গণমাধ্যমে যেসব অস্ত্রধারীর ছবি প্রচার হয়েছে তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কর্মসূচি ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পন্ড করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে, গুলি চালিয়েছে, যানবাহন আটকে দিয়েছে। তারপরও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধে আমরা অত্যন্ত সফলভাবে কর্মসূচি সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জের ঘটনায় কয়েকজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এখনও কয়েকজন গ্রেফতার রয়েছেন। এছাড়া দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফেনী, যশোরে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সমাবেশ হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছিল। সর্বশেষ সিরাজগঞ্জে যেটা হয়েছে তা পুরোপুরিভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। সেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৬টি মামলা হয়েছে। গণমাধ্যমে যেসব অস্ত্রধারীদের ছবি প্রচার হয়েছে, সেসব ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাদের। অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, প্রমাণিত হয়েছে যে এ দেশের জনগণ এই সরকারকে চায় না। জনগণ এই মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়। কিন্তু মিডনাইট সরকার এটাকে এড়িয়ে গিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষ তার গণতান্ত্রিক দাবি আদায় করবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।
কর্মসূচিতে বিএনপির যেসব নেতাকর্মী আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।