বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকায় শনিবার থেকে শুরু করোনা প্রতিরোধী বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। নগরীর তিনটি কেন্দ্রের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল স্টেডিয়াম, জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার।
তবে উপজেলা পর্যায়ে এখনই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল স্টেডিয়ামে বুস্টার ডোজ দেওয়ার উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ জানান, প্রথমদিনের জন্য বুস্টার ডোজ প্রাপ্য এমন দুই হাজার জনকে বার্তা দেওয়া হয়।
পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে। বুস্টার ডোজ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা।
বরিশালের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদ হাসান বলেন, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে। এতে প্রতিদিন অনেক ভিড় হচ্ছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে আমাদের কাছে ফাইজারের টিকা ছাড়া অন্য কোনও টিকা নেই। তাই আমরা চাইলেও সব স্থানে এই টিকা পাঠাতে বা সংরক্ষণ করতে পারবো না।
কারণ টিকা সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। এছাড়া এই টিকা প্রয়োগের জন্য সুপার কুল এসি রুমের প্রয়োজন, যা উপজেলা পর্যায়ে নেই। তাই আমরা মর্ডানা ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার জন্য অপেক্ষা করবো।
বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, টিকার কোনও সংকট নেই। খুব দ্রæত টিকা চলে আসবে। উপজেলা পর্যায়ে বুস্টার ডোজ দেওয়াও শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানত তিনটি শর্ত পূরণ হলেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। টিকা পেতে ফ্রন্ট লাইনার ছাড়াও ৬০ বছর বা তার অধিক বয়স হতে হবে, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার বয়স ৬ মাস বা তার অধিক হতে হবে এবং মোবাইলে বার্তা পেতে হবে।