দেশের আধুনিক শিল্পকলার প্রবাদপুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ‘জয়নুল উৎসব’। এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী জয়নুল মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর প্রধান অতিথি হিসেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ এবং শিল্পাচার্য-পুত্র খায়রুল আবেদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তারা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পকলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারুশিল্প বিভাগের অনারারি অধ্যাপক আব্দুস শাকুর শাহ এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রমন শিব কুমারকে জয়নুল সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়।
এ সময় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর বলেন, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পকর্মের উন্নতি সাধনে আমাদের শিল্পীরা অনন্য অবদান রেখে চলছেন। শিল্পাচার্যের আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন এমন একটি অঙ্গন যা অন্যান্য অঙ্গনগুলোকে টেকসই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি জাতির সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয়। আমাদের শিল্প-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অনবদ্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য।
এদিকে, জয়নুল উৎসবে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কারুশিল্পীরা শতরঞ্জি, মাটির পুতুল, হাতপাখা, নকশিকাঁথা ও চিত্রকর্মসহ নানান শিল্পকর্মের পসরা সাজিয়েছেন। দর্শনার্থীরা সেগুলো দেখতে সারাদিনই ভিড় জমিয়েছেন উৎসবস্থলে।