মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ২৩ ডিসেম্বর। ২০১১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, জননেতা আব্দুর রাজ্জাক লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে আব্দুর রাজ্জাক তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম সারির সংগঠক ও নেতা। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া তিনি ১৯৬৬-১৯৬৭ ও ১৯৬৭-১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জননেতা আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ২টি করে আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ’৭১-এর ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
‘জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদ ও আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল এবং বিকেল ৩টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তন (টিএসসি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখবেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।