চট্টগ্রাম থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ‘পাচারের উদ্দেশ্যে’ নিয়ে যাওয়া এক কিশোরীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় ঢাকার গাবতলী, ফকিরাপুল ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. নাঈম (২২), আসাদুজ্জামান (২৭) ও ফাতেমা বেগম (৩০)। গ্রেফতার তিনজন এবং এক তরুণীকে পলাতক দেখিয়ে মানবপাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর মো. আলম নামে একজন র্যাব-৭ এ লিখিত অভিযোগ করেন। তার মেয়ে চট্টগ্রামের একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। ১৩ ডিসেম্বর বাড়ির মালিক জানান, তার মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। কিশোরীর পিতা হাটহাজারী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
র্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, উদ্ধারকৃত কিশোরী এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। সেখানে এক তরুণীর মাধ্যমে নাঈমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নাঈমের বিয়ের প্রলোভনে গত ১৩ ডিসেম্বর ওই কিশোরী সেই বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। একদিন হাটহাজারীতে ফাতেমার বাসায় থেকে পরদিন ঢাকায় চলে যায়। যে বাসায় মেয়েটি কাজ করত, সেখান থেকে খবর পেয়ে তার বাবা হাটহাজারী থানায় জিডি করেন। পরে র্যাব তদন্তে নেমে গত বুধবার রাতে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার একটি বাস থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তাকে নিয়ে গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাঈম ও আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে ফাতেমাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, ঢাকায় ওই কিশোরীকে দারুস সালাম এলাকার একটি বাসায় একদিন আটকে রাখা হয়েছিল। আমরা তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিতও হয়েছিলাম। নাঈম ও আসাদুজ্জামান সেটা বুঝতে পেরে ওই কিশোরীকে বাসা থেকে ছেড়ে দিয়ে বাসে তুলে দেয়।