Can't found in the image content. হত্যাকারী ছয় সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়কের স্বীকারোক্তি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ |

EN

হত্যাকারী ছয় সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়কের স্বীকারোক্তি

আদালত প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

হত্যাকারী ছয় সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়কের স্বীকারোক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয় শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুপুর থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামিরা ঘটনার বিষয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।  

এই ছয় শিক্ষার্থী হলেন- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, জিওগ্রাফির আল হসাইন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম। হত্যাকারী ছয়জন উক্ত হলের সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়ক

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। এসময় মোবাইলফোন চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন।  

জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।  

গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।