পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল পুরো রাজ্য। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে আন্দোলনকারীরা।
আর গতকাল স্বাধীনতা দিবসের রাতে বিচারের দাবিতে মাঠে নামা আন্দোলনাকারীদের পিটিয়েছে অজ্ঞাত কিছু হামলাকারী। এতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা এবং কংগ্রেস সংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এমন ঘটনা চলতে থাকলে কোন ভরসায় অভিভাবকেরা মেয়েদের বাইরে পাঠাবেন?
সামাজিক মাধ্যম এক্সে নিজের একাউন্টে রাহুল লিখেছেন, ‘হাথরস থেকে উন্নাও, কাঠুয়া থেকে কলকাতা, নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা দরকার।’
‘আমি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি। যে কোনও মূল্যে তাদের ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত এবং দোষীদের এমন শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে সমাজের কাছে সেটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।'
রাহুলের আরো প্রশ্ন, ‘নির্ভয়াকাণ্ডের পর যে কড়া আইন তৈরি করা হয়েছিল, সেই আইনও কেন এই ধরণের অপরাধ রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে?’
আরজি করকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের আন্দোলকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতের বিভিন্ন শহরে।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে নেমেছে সিবিআই। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
নিহত তরুণীর ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তবে তিনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দিকে কোনো অভিযোগ তুলেননি।
এর আগে মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা মর্মান্তিক। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা দেশে একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। আমি রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে দ্রুত এবং কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন জানাচ্ছি। নিহত ওই চিকিৎসকের পরিবার এবং তার সহকর্মীদের ন্যায়বিচারের দাবি নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’