যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নামের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম গুলিয়ে ফেলে আবারও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কমলা হ্যারিস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি কমলার নামের জায়গায় ট্রাম্প বলে ফেলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম সম্মেলন শেষে একক সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন।
এক ঘণ্টার ওই সংবাদ সম্মেলনের শুরুর দিকেই কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ট্রাম্পের নাম গুলিয়ে ফেলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সম্মেলনে রয়টার্সের পক্ষ থেকে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কমলা হ্যারিসের ওপর তার আস্থা আছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, দেখুন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে তো আমি ট্রাম্পকে (হবে কমলা) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিতাম না।
এর আগেও বাইডেন ভুল করেছেন। ন্যাটো সম্মেলন চলাকালে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথা বলতে গিয়ে মুখ ফসকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলে ফেলেন। পরিস্থিতি সামলাতে জেলেনস্কি বলেন, তিনি পুতিনের চেয়ে ভালো।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন ঘন ঘন কাশছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুর দিকে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় তিনি কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। শেষের দিকে তার কথাগুলো খুব একটা স্পষ্টভাবে বোঝাও যাচ্ছিল না। তবে বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে তিনিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইল-গাজা সংঘাত এবং রাশিয়া ও চীনকে মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোর আরও বেশি সামরিক অস্ত্র তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই সপ্তাহ আগে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়া বাইডেন এমনিতেই দলের ভেতরে-বাইরে চাপের মুখে আছেন। তিনি ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আদৌ জিততে পারবেন কি না, তা নিয়ে সমর্থক, তহবিল দাতা, এমনকি ডেমোক্র্যাট দলের নেতারাও প্রশ্ন তুলেছেন। ৮১ বছর বয়সি বাইডেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।
তবে বাইডেনের দাবি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা আছে তার। ৭৮ বছর বয়সি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে তার অনন্য যোগ্যতা আছে। বাইডেন বলেন, আপনারা মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞানও কিছুটা বাড়ে।