বলা যায়, টক অব দ্য কান্ট্রি এখন সাদিক এগ্রোর ১৫ লাখ টাকার ছাগল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলকালাম চলছে এ নিয়ে। নেটিজেনদের প্রথম প্রশ্ন, ছাগলের দাম এতো বেশি কেন? দ্বিতীয় প্রশ্ন, রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের এতো টাকার উৎস কী?
সম্প্রতি সাদিক এগ্রোর কাছ থেকে মুশফিকুর রহমান ইফাত ১২ লাখ টাকা মূল্য ধরে ১ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছেন। ছাগলটি ১২ জুন বুঝে নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আর নেননি। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছাগলের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে এর দাম ১৫ লাখ টাকা প্রচার করা হয়।
এদিকে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করলেও সর্বশেষ জানা যায়, দুটি বিয়ে করেছেন মহিউর রহমান। প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। যিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত।
এ তথ্য দিয়েছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন।
সাদিক এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, যে ছাগলের দাম নিয়ে এতো জল্পনা কল্পনা, তা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের ছাগল। এ জাতের নাম ‘বিটল’ এবং বাংলাদেশে এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ছাগল।
আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি।
তিনি বলেন, বিরল প্রজাতির এই ছাগল বাংলাদেশে এখন একটিই আছে।
এটি আমদানি করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে ইমরান হোসেন জানান, আজ থেকে দুই মাস আগে ছাগলটি যশোরের একটি হাট থেকে ক্রয় করা হয়েছিল।
যশোরের হাটে এই ছাগল কিভাবে এলো? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তা জানি না। তবে এরকম ছাগল, বড় বড় গরু প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রামে গঞ্জে, হাটেই বিক্রি হয়। হাট থেকে কিনে এনে আমরা সেগুলো লালন-পালন করে বিক্রি করি।
আমাদের কাছে যখন তথ্য আসছে, আমরা সাথে সাথে লোক পাঠিয়ে টাকা দিয়ে এটা কিনে নিয়ে আসছি। কারণ আমাদের কাছে ছাগলটাকে খুব ভালো লেগেছে। ইমরান হোসেনের দাবি, এই ছাগলটির ক্রয়মূল্যই পড়েছিল ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক আরও খরচ আছে।
সেজন্যই এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। ছাগলের দাম বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হল উন্নত জাত ও বংশমর্যাদা। এখানে বংশমর্যাদার বিষয়টি ঠিক কী, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভালো বংশমর্যাদার ছাগল বা গরুর ক্ষেত্রে বিক্রির সময় ক্রেতার কাছে সার্টিফিকেট দেখানো হয়।