আরবি হিজরি ১৪৪৫ সনের জিলহজ মাসের ৮ তারিখ আজ। নিয়ম অনুযায়ী সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে আজ শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদি গণমাধ্যম গলফ বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় (ইহরামের পোশাক) গায়ে মিনায় পৌঁছান হজের উদ্দেশ্যে সারা বিশ্ব থেকে সৌদি আরবে আসা লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান। মিনামুখী পুরো রাস্তায় ছিল হজযাত্রীদের স্রোত। বাসে, গাড়িতে এমনকি হেঁটেও মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন মুসল্লিরা।
প্রথা অনুযায়ী ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। আগামীকাল ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন তারা। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এই দিনটাকে বলা হয় আরাফার দিন। এরপর প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরে প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবে হাজিরা।
পাথর নিক্ষেপ শেষে হাজিদের কোরবানি করবেন। কোরবানি শেষে হাজিরা (পুরুষ) তাদের মাথা মুণ্ডণ করবেন এবং ইহরামের কাপর খুলে ফেরবেন। এরপর তারা কাবা তাওয়াফ করতে মক্কায় চলে যাবেন। যা মূল তাওয়াফ হিসেবে পরিচিত। কাবায় সাত চক্কর দেওয়ার পাশাপাশি সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে তারা সাতবার আসা যাওয়া করবেন। সবকিছু শেষ হওয়ার পর মিনায় তারা তাদের ক্যাম্পে ফিরে যাবেন।
হজের চতুর্থ ও পঞ্চম এ দুইদিনও প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়বেন হাজিরা। এই সময় প্রতীকি শয়তানের তিনটি স্তম্ভের প্রত্যেকটিতে সাতটি করে নুড়ি পাথর ছুড়বেন হাজিরা। এখানে আরও দুইদিন অবস্থান করবেন তারা।
মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীরা মক্কায় ফিরে যাবেন এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করবেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।