Can't found in the image content. মালয়েশিয়া যেতে না পারা সবার টাকা ফেরত দেবে বায়রা | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

মালয়েশিয়া যেতে না পারা সবার টাকা ফেরত দেবে বায়রা

স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: মঙ্গলবার, জুন ৪, ২০২৪

মালয়েশিয়া যেতে না পারা সবার টাকা ফেরত দেবে বায়রা
যারা টাকা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)।

মঙ্গলবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলন এবং মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার।

তিনি বলেন, ‘আমরা কথা দিলাম, যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের সবার টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যেসব এজেন্সি তাদের দেশটিতে পাঠাতে পারেনি তাদের নামের তালিকা করা হবে। এজেন্সিকে কত টাকা দিয়েছে তারও তালিকা হবে। আমরা এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের দেওয়ার জন্য বায়রার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেব।’

বায়রা সভাপতি বলেন, ১০১ জন ব্যবসা করেছে, তাদের সুযোগ দিয়েছে কে? নিশ্চয় দুই দেশের মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের সরকার ও মালয়েশিয়ান সরকার একটি চুক্তি করেছে। কতজন লোক লাগবে, কিভাবে নির্ধারণ করবে সেই চুক্তি করেছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এই চুক্তি বায়রার সঙ্গে করেনি। আর ওই চুক্তি মোতাবেক মালয়েশিয়া সরকার ১০১ এজেন্সিকে চিহ্নিত করেছে। বায়রার সদস্যদের এখানে কিছুই করার নেই।

১৯৯৪ সালেও সিন্ডিকেট হয়েছিল জানিয়ে মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, আমি সেটা ভেঙে দিয়ে আমাদের সদস্যদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। এরপর ২০০৮ ও ২০১৬ সালেও সিন্ডিকেট হয়েছে। একটা স্বার্থান্বেষী মহল চায় কোটিপতি থেকে আরও কোটিপতি হতে। এখন আমরা চেষ্টা করছি যেসব মানুষ যেতে পারেনি তাদের টাকা ফেরত দিয়ে বায়রাকে দায় মুক্ত করতে।

তিনি বলেন, ২০০৮ ও ২০১৬ সালে সিন্ডিকেটের কারণে এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের কর্মীদের রিসিভ করেনি মালয়েশিয়া। এটা আমাদের সরকারও জানে। মালয়েশিয়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড সব সময় চালিয়ে থাকে।

কর্মীদের কাছ তিন থেকে চারগুণ বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বায়রা সভাপতি বলেন, এই যে ৫ লাখ, ৪ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে এটা সঠিক নয়। এ রকম কথার কথা অনেকে বলে।

সভায় বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন বলেন, গত ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার ই-ভিসা ইস্যু করেছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ৩০ বা ৩১ মে যদি ই-ভিসা ইস্যু করা হতো তাহলে সংকট তৈরি হতো না। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি দেখলে এ সমস্যা সৃষ্টি হতো না।