ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুট

দুই সপ্তাহের জন্য ফের চালু হচ্ছে বিশেষ ট্রেন

চট্রগ্রাম ব্যুরো | আপডেট: রবিবার, জুন ২, ২০২৪

দুই সপ্তাহের জন্য ফের চালু হচ্ছে বিশেষ ট্রেন
লোকবল ও ইঞ্জিন সংকটের কারণে বন্ধ হওয়া কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের বিশেষ ট্রেনটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়ার দুদিন পরই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

আগামী ১২ জুন থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে ট্রেনটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় দুই সপ্তাহের জন্য এই ট্রেন চলাচল করবে। এরপর আবারও বিশেষ ট্রেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কক্সবাজার বিশেষ-৩ ও ৪ নামে পরিচিত ট্রেনটি সবশেষ বুধবার চলাচল করেছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, গত ঈদে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে বিশেষ ট্রেন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। গত ৮ এপ্রিল এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। চালুর পর থেকে ট্রেনটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

নির্ধারিত সময়ের আগে বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এ ট্রেনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার আগে মাত্র ৫২ দিনে বিশেষ এই ট্রেনে যাত্রী পরিবহণ করা হয় ৫৪ হাজার ৮১৪ জন। আয় হয়েছে এক কোটি চার লাখ ৪১ হাজার টাকা। 

এই আয় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত অন্য যে কোনো লোকাল ট্রেনের মধ্যে সর্বাধিক। এর পরও ইঞ্জিন ও লোকবল সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশেষ ট্রেনটি।

জানা গেছে, যাত্রীদের চাপে দুই দফায় বিশেষ ট্রেন চলাচলের সময় ১০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের ১২ দিন আগেই ইঞ্জিন ও জনবল সংকট দেখিয়ে ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রেনটির ১০টি বগিতে যাত্রী ধারণক্ষমতা ছিল ৪৩৮ জন।

 প্রতিদিন সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে কক্সবাজারে পৌঁছাত সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাত রাত ১০টায়। ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালিহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা ও রামু স্টেশনে থামত। 

ফলে এই অঞ্চলের মানুষের কাছে নিরাপদ ও যানজটবিহীন পরিবহণের জন্য ট্রেনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পরে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা নানা মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে। বন্ধের দুদিন পর শুক্রবার কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের বিশেষ ট্রেনটি আবারও চালুর কথা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।

এদিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীরা যখন বিশেষ ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করে, তখন বাস সার্ভিসে যাত্রী সংকট দেখা দেয়। এতে বাস মালিকরা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া কমাতে বাধ্য হয়। 

এর পরও যাত্রী না পাওয়ায় বাস মালিকরা রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করে বিশেষ ট্রেন বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক বিবৃতিতে দাবি করে, ‘বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে।’

পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ইঞ্জিনের সংকট প্রকট হওয়ায় কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছিল। তবে আগামী ১২ জুন থেকে ঈদের এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সব মিলিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য এই বিশেষ ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর অন্যান্য বিশেষ ট্রেনের মতো এটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’