আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকারে এসে ভারতের সেভেন সিস্টারে (সাত রাজ্য) শান্তি প্রতিষ্ঠায় উলফাসহ বিচ্ছি ন্নতাবাদী গ্রুপের কাছে বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র চোরাচালানের রুট বন্ধ করেছি।
শনিবার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ১০ তলা বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেটসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর এই বাংলাদেশে অস্ত্র চোরাকারবারির যে রুট সেটা আমরা বন্ধ করেছি। ভারতে উলফা থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে যারা অস্ত্র সাপ্লাই দিতো সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি, তাদেরও যাতে শান্তি আসে। তাদের ওই সেভেন সিস্টারেও যেন শান্তি আসে, সেই ব্যবস্থাটা কিন্তু আওয়ামী লীগ করেছে; এটা সব থেকে বড় কাজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে ছিটমহল সেটাও বিনিময় করে সারা বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। বিশাল সমুদ্রসীমা আমরা জয় করেছি। যারা আগে ক্ষমতায় ছিল তারা (বিএনপি) তো এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেয়নি। জানতোই না।
বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা আসছিল লুটপাট করতে, দুর্নীতি করতে, অস্ত্র চোরাকারবারি করতে, সে কাজেই ব্যস্ত ছিল, আর মানুষ খুন করতে।
তিনি বলেন, এই দেশটাকে তারা কোথায় নিয়ে গিয়েছিল, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, অস্ত্র চোরাকারবারি; ওই তারেক জিয়া তো অস্ত্র চোরাকারবার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ওখানে বসে (লন্ডনে) এখন নানাভাবে ওই অগ্নিসন্ত্রাস দিয়ে মানুষ মারা, মানুষ খুন করা, আগুন দিয়ে মানুষকে পড়ানো এসব কাজ করে বেড়ায়।
টানা তিন মেয়াদী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রেখে আমরা এগিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতান’; পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইচগেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি হ্রদে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ শীর্ষক চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।