যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিল সব মহলেই। তবে এবার সেই জল্পনাকল্পনার আবসান ঘটিয়ে হঠাৎই সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। বুধবার বিকালে (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক বিবৃতিতে নির্বাচনের এ দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ক্ষমতাসীনদের নড়বড়ে পরিস্থিতির জন্যই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন সুনাক।
প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেছেন, এখন ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। এজন্য ঘোষণা দিয়েই ভোটের জন্য লড়াই করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ২০১০ সাল থেকে টানা তিনবার ক্ষমতায় আছে। এ সময়ে দলটি পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু দেশটির অর্থনীতি নড়বড়েই থেকে গেছে।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে যুক্তরাজ্যে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আকাশচুম্বী। এমন পরিস্থিতিতে ২ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয় কনজারভেটিভ পার্টির। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর সরকারের প্রতি আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিরোধী দল লেবার পার্টি। এখন কনজারভেটিভ পার্টি অনেকটাই বিভক্ত। দলটির নেতাকর্মীরাও হতাশ। কনজারভেটিভ পার্টির একাংশের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি নিয়েও বেশ দ্বিধা কাজ করছিল। সুনাকের ভাষণে নির্বাচনি দিন নির্ধারণ করায় বিরক্তও প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ পরিস্থিতিতে টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এবার তাদের পরাজয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
এদিকে লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার নির্বাচনের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তটির জন্যই দেশ অপেক্ষা করছে।’ তিনি আরও বলেন, পরিবর্তনের এটাই সময়। জাতীয় জনমতে লেবার পার্টি বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে। এখন তারা পূর্ণ প্রচারণায় নেমে পড়তে প্রস্তুত। শুক্রবার সংসদ স্থগিত হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার এর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। তারপর পাঁচ সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে দেশটিতে।