শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই এবার পাশ করেনি।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাশ করেনি। এ পরীক্ষার ফলে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
এ বছর পাশের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ছাত্রের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এবার ফলে সারা দেশে মোট পাশ করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাশের হার ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ ও ছেলে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৪৪৯ জন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যশোর বোর্ডে পাশের হার সবচেয়ে বেশি ৯২.৩২ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকায় ৮৯.৩২, রাজশাহীতে ৮৯.২৬, বরিশালে ৮৯.১৩, ময়মনসিংহে ৮৪.৯৭, চট্টগ্রামে ৮২.৮০, কুমিল্লায় ৭৯.২৩, দিনাজপুরে ৭৮.৪৩ এবং সিলেটে ৭৩.৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পাশের হার ৭৯.৬৬ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ৮১.৩৮ শতাংশ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাশের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।