ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

হাওর ভরাট করে আর সড়ক হবে না: শেখ হাসিনা

বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, মে ১১, ২০২৪

হাওর ভরাট করে আর সড়ক হবে না: শেখ হাসিনা
হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো সড়ক হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আমি নির্দেশ দিয়েছি যেন পানির স্রোত অব্যাহত থাকে।

হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না। বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তায় মাটি ভরাট করতে দিইনি।  সেখানে ব্রিজ বা কালভার্ট করে দিয়েছি। কারণ আবার যদি বন্যা হয়, তাহলে তো আবারও ভাঙবে, সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।
শনিবার (১১ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবির) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  

এ সময় হাওর এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন সরকারপ্রধান এবং জলাধার নষ্ট না করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি একটা সুন্দর বড় পুকুর, তার ভেতরে বিল্ডিং বানানোর প্ল্যান নিয়ে আপনারা হাজির হন। আমি আসার পর যে কয়টা এসেছে, আমি বাতিল করে দিয়েছি। আমি আসার আগেই এই ঢাকা শহরে অনেক পুকুর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই এলাকার যত পানি সেটা যাবে কোথায়?’

এ সময় রাজধানীর পান্থপথের কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পান্থপথ ছিল একটা বিল। পুরো বর্ষাকালে সেখানে পানি জমতো। ওখানে একটা খাল ছিল। বক্স কালভার্ট করার কারণে বৃষ্টির পানি জমে যায়। সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হলো। আমাদের দেশের জন্য এটা (বক্স কালভার্ট) প্রযোজ্য নয়। আমি মনে করি আমাদের উন্মুক্ত খাল থাকবে। দরকার হলে আমরা সেখানে এলিভেটেড রাস্তা করব। নিচে খাল, ওপরে রাস্তা। ’ 

বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ুর বাস্তবতায় সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য খালের বিকল্প নেই বলে জানান শেখ হাসিনা।

যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে তা নিয়ে ভাবতে বললেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজটা সচল রাখতে পারি, যোগাযোগ ব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি, সেটা চিন্তা করেই প্রকল্প নিতে হবে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আমাদের নিজস্ব বিশাল বাজার, সেই বাজার আমাদের সৃষ্টি করতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এরইমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে করা হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশে করা হবে।  
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।

এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার।