বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিলো গত ২০২২ সালের ১ আগস্ট। আংশিক কমিটি ঘোষণার ১ বছর ৮ মাস পর এতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ২০২২ সালের ১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ইবি শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরে শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নিমিত্তে আগ্রহী পদ-প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত গত বছরের ২ মে জমা নেওয়া হয়।
সিভি জমা নেয়ার ১ বছর পর গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন করে মোট ১৭৫ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এতে সহ-সভাপতি পদে তন্ময় সাহা টনি, মো. আল মামুন, নাইমুল ইসলাম জয়, বনি আমিন, মৃদুল হাসান রাব্বি, সোহানুর রহমান সিদ্দিকী সহ মোট ৭১ জন। যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম, হুসাইন মজুমদার, মেহেদী হাসান হাফিজ, শাহিন আলম, তরিকুল ইসলাম তরুন সহ মোট ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. জাকির হোসেন, সোহাগ শেখ, মেজবাহুল ইসলাম সহ মোট ১১ জন। দপ্তর সম্পাদক পদে কামাল হোসেন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে ২ জন, প্রচার সম্পাদক পদে নাবিল হাসান ইমন ও উপ-প্রচার সম্পাদক পদে ২ জন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে আশিক হোসেন ও উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক পদে ১ জনসহ বিভিন্ন সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় পদে মোট ৭৩ জন কর্মী পদ পেয়েছেন। এছাড়াও সহ-সম্পাদক পদে ১৫ জন এবং সদস্য হিসেবে ৭ জন পদ পেয়েছেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। আমরা ইবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী অন্তরের অন্তস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইনান ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামী দিন গুলোতে ইবি শাখা ছাত্রলীগ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আরো সুন্দর ও স্পৃহা নিয়ে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সাংগঠনিক একটি পরিচয় পাওয়া প্রতিটি কর্মীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। সকল ষড়যন্ত্র ভেঙ্গে দীর্ঘ ৮ বছর পরে যে ইবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি পরিচয় পেয়েছে, এতে কর্মীদের চেয়ে আমরাই বেশি খুশি।