আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বিএনপি। দেশের গণতন্ত্রের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না৷ দেশের গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলায় রাখা ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটাই সত্য।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি, মাগুরা মার্কা নির্বাচন ও হ্যাঁ না ভোট সৃষ্টি করছে। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অধীনে ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিযুক্ত করেছেন। আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দিয়েছেন, ফিন্যান্সিয়াল স্বাধীনতা দিয়েছেন। সংসদে আইন করে স্বাধীন সত্ত্বায় অধিষ্ঠিত করেছেন। ৮২ টার মতো সংশোধনী আনা হয়েছে। এগুলো করেছেন কে? তাহলে প্রয়াসটা কার আছে? শেখ হাসিনাই এই কাজটা করেছেন।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে ২৩ জুন তিনদিনব্যাপী আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্লাটিনাম হীরক জয়ন্তী পালন করবে বলে জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ২৩ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ দলের নেতারা থাকবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কিন্তু আমাদের গত জাতীয় সম্মেলনসহ সমস্ত অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আমন্ত্রণপত্র বিএনপিও পাবে। এটা আমি বলতে পারি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও পাবে।
তিনি জানান, আমরা মূলত ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করব। সেদিন সকালে আমরা আমাদের পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, সহযোগী, ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবে এবং বিকালে আলোচনা সভা হবে ঢাকা জেলা মিলনায়তনে।
অনেক সংসদ সদস্যও প্রকাশ্যে প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের সময়মতো কোনো না কোনোভাবে শাস্তি পেতে হবে। দলের সাংগঠনিকভাবে বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরকে আর সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা কতজন এমপিকে বাদ দিয়েছি? ২৫ জনকে মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা তেমন নয়। সময় মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুরসহ উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।