Can't found in the image content. তিন সদস্যের টিম গঠন: বেনজীরের সম্পদের খোঁজে দুদক | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

তিন সদস্যের টিম গঠন: বেনজীরের সম্পদের খোঁজে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

তিন সদস্যের টিম গঠন: বেনজীরের সম্পদের খোঁজে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ কাজে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত টিমের অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন। সোমবার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে ব্রিফ করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

দুদক সচিব বলেন, একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। ১৮ এপ্রিল কমিশনের প্রথম সভায় বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিমের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী যা যা করা দরকার, তারা তা করবেন। বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ‘আইওয়াশ’ কি না-সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধারণা ঠিক নয়। এর আগেও বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলেছে। অনুসন্ধানের পর সেটা নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেটাকে পুনরায় শুরু করা যায়নি কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ফলে তার বিরুদ্ধে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। 

জানা যায়, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহে পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করা যেতে পারে বলে মতামত দেয় দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক)। এরপর ফাইলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় মানি লন্ডারিং অনুবিভাগে। এ বিভাগের মহাপরিচালকের সুপারিশসহ ফাইলটি কমিশনার ও চেয়ারম্যানের দপ্তরে পাঠানো হয়। তারাও অনুসন্ধানের অনুমোদন দেন। আলোচিত ব্যক্তি হিসাবে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধানের এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গোপনীতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার চেয়ারম্যান ও কমিশনারের অনুমোদন দেওয়া ফাইলটি ফের ফেরত পাঠানো হয়েছে মানি লন্ডারিং অনুবিভাগে। সোম, মঙ্গলবারের মধ্যেই এ বিভাগের শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

এদিকে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বেনজীর আহমেদের সম্পদ বৈধ না অবৈধ, তা তদন্ত করে দেখতে রোববার দুদককে চিঠি দিয়েছেন। দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে চিঠি দিতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বেনজীর আহমেদের দুই মেয়ে এবং স্ত্রী শত শত কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রিসোর্টের জন্য সরকারি টাকায় এলজিইডি সাত কিলোমিটার রাস্তা করে দিয়েছে। এত সম্পদের রিপোর্ট প্রকাশের পর মনে করেছিলাম আমার এখানে আসতে হবে না। দুদক চেয়ারম্যানও বলেছিলেন, ওনারা অনুসন্ধানের চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু সেই চিন্তাভাবনা কোথায় থেমে গেছে, তা আমার জানা নেই। দুদকের কাজ নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন এমন বিতর্ক তোলার একদিন পরই সংস্থাটি বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধানের জানান দিল।

এদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান আবেদনকারী হিসাবে রোববার এ রিট করেন।

রিট দায়েরের বিষয়টি জানিয়ে সোমবার আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘প্রকাশিত ওই সংবাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে ৪ এপ্রিল দুদকের কাছে আবেদন করা হয়। এতে ফল না পেয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১৮ এপ্রিল দুদক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এর কোনো জবাব না পেয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।