নিউইয়র্কের আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মামলার বিচার কাজ চলছে সেটির সামনে শুক্রবার নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ব্যক্তি মারা গেছেন।
শনিবার ভোরে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয় বলে জানায় বিবিসি।
ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল আজারেলো, বয়স ৩৭। শুক্রবার দাহ্য তরল পদার্থ ঢেলে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানেই তিনি মারা যান।
গায়ে আগুন দেওয়ার আগে ওই ব্যক্তি বাতাসে প্রচারপত্র ছুড়ে ছিলেন। একটি প্রচারপত্র রয়টার্স সাংবাদিকদের নজরে এসেছে। তাতে লেখা রয়েছে ‘শয়তান ধনকুবের’। তবে তাতে কারো নাম উল্লেখ নেই।
আদালতের সামনে একটি ব্যানার হাতে দেখা যায় তাকে। ব্যানালে লেখা, ট্রাম্প ও বাইডেন মিলে আমাদেরকে শোষণ করছেন।
পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি ট্রাম্পকে হামলার কোনো চেষ্টা করেননি। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার তারিক শেপার্ড বলেন, আমাদের ধারণা তিনি (আজারেলো) একজন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক (কন্সপাইরেসি থিওরিস্ট)।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরুর প্রথম দিনে বিক্ষোভকারী ও ট্রাম্প সমর্থকসহ উৎসুক জনতা ভিড় করেছিল।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি এ মামলায় বিচারকাজের জন্য ১২ সদস্যের পূর্ণ জুরি বাছাইয়ের পরই এ হতবাক করা ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় আদালতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি বলে জানায় জরুরি কর্মীরা। ঘটনার সময় ট্রাম্প আদালত ভবনে ছিলেন। পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
আজারেলো গত সপ্তাহে কোনো এক সময়ে তার ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন। নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে তার অতীত অপরাধের রেকর্ড নেই। ফ্লোরিডাতে তার পরিবার জানে না যে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
নিজরে সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন।
ঘুষের এ মামলায় ট্রাম্প দোষী নাকি নির্দোষ- সেটিই আগামী কয়েক সপ্তাহে মূল্যায়ন করে দেখবে ১২ সদস্যের জুরি। আগামী সোমবারেই প্রাথমিক আইনি যুক্তিতর্ক শুনতে পারে আদালত।
ট্রাম্পই প্রথম কোনও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।