ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সাত দফায় ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।
এই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৯০ লাখ। এই বিশাল ভোটারের নির্বাচনের ফল কোন দিকে যায় সেদিকে নজর সবার।
তবে নির্বাচনে দেশ-বিদেশের ফোকাস থাকবে বিরোধী দলগুলোর কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীদের দিকে। তারা জনপ্রিয়তা দেৌড়ে জয়ী হন কিনা সেটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।
ভারতীয় কংগ্রেসের সাবেক সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী কখনও মন্ত্রী হননি, কিন্তু সবচেয়ে পরিচিত বিরোধী নেতা। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয়ের অনেকটাই বংশ পরম্পরায় পাওয়া – দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে তার দাদা এবং বাবা দুজনেই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
বিগত এক দশকে বিজেপির যত উত্থান হয়েছে, ততই গান্ধীর দল কংগ্রেস ততই ক্ষীণ হয়েছে। তার রাজনৈতিক জীবনের গোড়ার দিকে সমালোচকরা তাকে 'অনিচ্ছুক রাজপুত্র’ বলে আখ্যা দিত।
সেই আখ্যা ঘোচাতে তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী দুটি পদযাত্রা, যার মাধ্যমে তিনি ‘হিংসা ও দ্বেষের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধ’ করার প্রয়াস নিয়েছিলেন।
জনমত সমীক্ষাগুলো অবশ্য কংগ্রেসকে বিজেপির অনেক পিছনে ফেলেছে এবারও।
প্রায় এক দশক আগে যখন কংগ্রেস শেষবার সরকারে আসীন ছিল, তখন বাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীকে ভারতের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারী বলে মনে করা হত।
তবে গত কয়েক বছরে ৭৭ বছর বয়সি সোনিয়া গান্ধীর যেমন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েছেন, তেমনই রাজনীতিতে তার প্রভাবও কমেছে।
এবছর জানুয়ারি মাসে সোনিয়া গান্ধী সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাই এই লোকসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করছেন না।
গান্ধী পরিবারের আরও একটি নাম প্রতি নির্বাচনের আগেই আলোচনায় উঠে আসে। তিনি হলেন রাজীব তনয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও তিনি কখনও লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতোই অনেকটা দেখতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অবশ্য কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনি প্রচার চালান আর মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে প্রশংসিতও হন। এবারও তার সমর্থকদের মধ্যে থেকেই দাবি উঠেছিল যে তিনি যেন নির্বাচনে দাঁড়ান।
বিরোধী নেতাদের মধ্যে আর যার নাম আলোচনায় রয়েছে, তিনি হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এখন অবশ্য গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন।
তিনি প্রথম প্রচারের আলোয় উঠে এসেছিলেন দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনকারী হিসাবে। তার দল আম আদমি পার্টি বিজেপি আর কংগ্রেসকে হারিয়ে একটানা তিনবার দিল্লির শাসন ক্ষমতায় আছে। আবার পাঞ্জাবেও ওই দলটিই সরকার চালায়।
বিরোধী পক্ষের আরেকজন হেভিওয়েট নেতা মমতা ব্যানার্জি; যিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো।