ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

নানা আয়োজনে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিলো জবি

লিয়ন সরকার, জবি প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

নানা আয়োজনে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিলো জবি
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক বাহক পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে৷ 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গলশোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস থেকে রায়সাহেব বাজার হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মচারীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ অংশগ্রহণ করেন।

এবছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং 'বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন। মঙ্গলময় যত তনু-মন' স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণি প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।

মঙ্গলশোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০.১৫ মিনিটে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে নির্ধারিত মঞ্চে। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি  বলেন, "আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলের সহযোগিতায় হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী, আর এধরণের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে। 

তিনি আরও বলেন, পশ্চিম বঙ্গ, পূর্ব বঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান তারপর বাংলাদেশ এবং এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারন করতে পারে।

এরপর বেলা ১২ টায় সঙ্গীত বিভাগের আয়োজনে সংঙ্গীত পরিবেশনা করা হয়। সঙ্গীত পরিবেশনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে মঞ্চাচিত হয় নাটক মধুসূদন। 

এছাড়া বেলা ৪ টা থেকে শুরু হয় রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে বিভিন্ন ব্যান্ডদলের অংশগ্রহণে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রে ফুটে উঠেছে ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ধরনের চিত্র।