প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ধৈর্যশীল। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রী-নেতাদের অপকর্ম সম্পর্কে যখন জানেন, তখন তাদেরকে শেষ সুযোগ দিয়ে সতর্ক করে দেন। মুরাদকেও এক মাস আগে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে মুরাদের দুইটি ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর কানে আসে। প্রথম ঘটনাটি ছিল একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়া। একজন মন্ত্রী এইভাবে গান গাইতে পারেন কিনা, এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল।
দ্বিতীয় ঘটনা ঢাকা ক্লাবের। সেখানে ডা. মুরাদ হাসান মদ্যপ অবস্থায় গিয়ে একটি অনুষ্ঠানের ভিতর গান গেয়েছিলেন। পরে ঢাকা ক্লাবের কর্মকর্তারা তাকে আর গান না গাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি সেখানে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। পুলিশ ডেকে নিয়ে আসেন। পরে ঢাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পুলিশ চলে যায় এবং মুরাদকে নিরাপত্তা কর্মীরা এস্কট করে ঢাকা ক্লাব থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনাটিও প্রধানমন্ত্রীর কানে আসে। এই দুইটি ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে দিয়ে ডা. মুরাদকে সতর্ক করেছিলেন। এ ধরণের উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ যেন ভবিষ্যতে না করে, সেই বার্তাটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুরাদ সেই বার্তা শোনেননি।