আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে, সেবা করে এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।
এবার রোজার সময় সাধারণ মানুষকে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। উপস্থিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ আসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, বিভিন্ন সংগঠন প্রত্যেকেই যারা যার স্থান থেকে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ইফতারে সহযোগিতা করেছে, ঈদের উপহার দিয়েছে। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই।’
‘সাধারণ মানুষকে এটুকুই বলব, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশেই থাকে, সেবা করে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে,’ বলেন শেখ হাসিনা। গণভবনে আসা অতিথিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই পবিত্র ঈদ সকলের জীবনে অনাবিল সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসুক, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলআমিনের কাছে সেই দোয়া করি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়েছেন দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। আজকে আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। কিন্তু এখনো যেটুকু দারিদ্র্য রয়েছে, আমরা ইনশাআল্লাহ আগামীতে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব, সেটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। পবিত্র ঈদে আমরা সেটাই চাইছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন বলেছি আমরা রোজার সময় ইফতার পার্টি করব না, ইফতার মানুষের মাঝে বিলি করব, মানুষকে ইফতার খেতে দেব, মানুষের পাশে দাঁড়াব- সেই নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রত্যেকেই যার যার স্থানে মানুষের মাঝে ইফতার বণ্টন করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার পৌঁছে দেওয়াটা অত্যন্ত পবিত্র কাজ।
‘অনেকেই গর্ব করে বলে এক হাজারের বেশি ইফতার পার্টি করেছেন। তারা হাজারের ওপর পার্টি করে ইফতার খেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে দেয়, খেতে আসে না, দিতে আসে। আমরা দিয়েছি,’ বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।