পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চলতি মাসেই মুক্তি পেতে পারেন বলে আশা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা লতিফ খোসার বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার জিও নিউজের নয়া পাকিস্তান নামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি এটি নিশ্চিত করে বলছি যে, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে (ইমরান খান) এই এপ্রিলেই মুক্তি দেওয়া হবে।
লতিফ খোসার এই মন্তব্যের পর পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহার আলী খানও একই দাবি করেছেন। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দিন তারিখ উল্লেখ না করে জানিয়েছেন, ইমরান খান শিগগির কারামুক্ত হবেন।
কোনো সমঝোতার অংশ হিসেবে ইমরান খান মুক্তি পাচ্ছেন কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে লতিফ খোসা বলেছেন, ইমরান খানের মুক্তি কোনো সমঝোতার অংশ হিসেবে হচ্ছে—এটি ভাবাটা অন্যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোনো প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না, তিনি কেবল দেশের সাংবিধানিক প্রাধান্য রক্ষা করতে চান।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে থাকা তোশাখানা মামলার ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে, ঈদের পর এই মামলার শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছেন।
তবে তোশাখানা মামলায় কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ পেলেও ইমরান খান এখনো কারাগারে বন্দী। কারণ, সাইফার মামলা, আরেকটি তোশাখানা মামলা ও সন্ত্রাসবাদী মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে থাকা দণ্ডাদেশ ও গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তিনি এখনো কারাবন্দী।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে সাইফার মামলা ও ইদ্দত মামলার বিষয়ে খোসা জানান, এগুলো আসলে ধোপে টেকে না।
তিনি বলেন, সাইফার মামলায় আদালত ইতোমধ্যেই সেই কথিত ‘সাইফার কোথায় আছে’ সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। আর ইদ্দত মামলাটি একটি লজ্জাজনক বিষয়।