আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না সরকার। তবে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে বাধা আসবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে, বিএনপি জিতেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই জানে নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কী?
মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের রাজনীতির মূল ইস্যুই হচ্ছে ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’ সরকার। সরকারই সব অপরাধে অপরাধী। তারা নালিশ করতে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বিএনপি নেতা মঈন খান মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করেছেন, দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এ হচ্ছে আমাদের প্রধান বিরোধী দলের (বিএনপি) অবস্থা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চাই, ৫৪ দলের সরকার বিরোধী যে ঐক্য জোট, এ জোটের শরিকরা কোথায়? সেই ঐক্য কোথায়? জগাখিচুড়ি ঐক্যজোট কোথায়? এখন সরকারের ওপর দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে?
নির্বাচন করার জন্যই বিএনপি নেতাদের আটক রাখা হয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাদের কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, সাংবাদিকদের মারধর, জাজেজ চেম্বারে হামলা, পুলিশের হাসপাতালে গিয়ে হামলা করা- এসব অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা বলেছিল পালিয়ে যাবে না, পালিয়ে গেল কেন? পালিয়ে গেল মানে তারা কোনো অপরাধ করেছে। তার পরও বিষয়টা বিচারাধীন বিষয়, আদালতের বিষয়, আদালত যখন জামিন দিয়েছেন, তখন তারা মুক্তি পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থা হচ্ছে, নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার, তাই হবে।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাধা দেওয়ার মতো সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয় তাহলে বাধা আসবে। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।