পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আজ (শনিবার) দেশজুড়ে বিক্ষোভ করবে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তাদের এই বিক্ষোভে অংশ নেবে জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই)।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পিটিআই-এর এক প্রতিনিধি দল জেআই নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
বিক্ষোভ পালনে জামায়াত-ই-ইসলামী, জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) অন্য দলগুলোকেও পাশে চেয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। গহর আলী খান বলেন, এবারের এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আমাদের ম্যান্ডেট চুরি হতে দেবো না। ম্যান্ডেট পরিবর্তন এবং কারচুপি হয়েছে যারা এমনটি বিশ্বাস করেন আমরা এমন সব রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বিক্ষোভে জনসাধারণকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পিটিআইয়ের দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিয়ো নিউজ জানিয়েছে, ইমরান খান কেন্দ্রে সরকার গঠনের বিষয়ে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাথে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। দলের সূত্র জিয়ো নিউজকে জানিয়েছে, ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা জেলে বন্দী। তিনি পিপিপির সাথে কথা বলতে প্রস্তুত। দলটি এরই মধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী শাহবাজ শরিফকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় শনিবারের দেশব্যাপী বিক্ষোভে জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আসাদ কায়সার। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকের পর জামায়াত নেতা লিয়াকত বালুচ বক্তব্য দেন। পিটিআই প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানকে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। এর আগে দলটি নির্বাচনের পরদিনই ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলেছিল। পিটিআই-এর সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করেছেন বালুচ।