ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি, নওয়াজ কি মেনে নেবেন?

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৪

বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি, নওয়াজ কি মেনে নেবেন?

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) সঙ্গে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌছেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন তার বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। তবে এই দাবি মুসলিম লিগের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নওয়াজ মেনে নেবেন কিনা সেটিই দেখার বিষয়।

জোট সরকার গঠনের শর্ত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ও চায় পিপিপি। পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পিপিপির এ দাবিগুলো তুলে ধরেছেন দলটির প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ।

একাধিক সূত্রের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএল–এনের সঙ্গে জোট গঠন করতে রাজি হয়েছে পিপিপি। তবে দলটি বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছে। 

শাহবাজ শরিফ তার দলের নেতাদের বলেছেন, জারদারির দাবি অনুযায়ী বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করা হলে কেন্দ্রের পাশাপাশি পাঞ্জাবেও পিএমএল–এনকে সমর্থন দেবে পিপিপি।

পিএমএল-এনের একাধিক নেতা দ্য নিউজকে জানিয়েছেন, জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে শুক্রবার রাতে পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর পর শনিবার কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে পিএমএল-এনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। বৈঠকে শাহবাজ শরিফ ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

পিএমএল-এনের সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল করতে না পারায় দলটির নেতারা হতাশ। 

তারা বলছেন, নির্বাচনের ফল নিয়ে নওয়াজ শরিফ, মরিয়ম নওয়াজ ও অন্য নেতারা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। 

এ কারণে জনসমাবেশ, বড় নির্বাচনি প্রচার ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়াসহ ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন।

পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের আলোচনা ব্যর্থ হলে এমকিউএম, জেইউআই–এফ ছাড়াও অন্য ছোট ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ীদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন পিএমএল-এন নেতারা। 

এভাবে সরকার গঠন করতে পারলে শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী এবং নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ১টার দিকে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এবার ভোট হয়েছিল ২৬৫ আসনে। প্রার্থীর মৃত্যুতে এক আসনে ভোট হয়নি। আর এক আসনে ফল ঘোষণা স্থগিত করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।

ইসিপি ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইসমর্থিত। 

এর পরই পিএমএল-এন ৭৫ আসনে, পিপিপি ৫৪ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭ আসন। জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪ আসন প্রয়োজন।