তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের করা প্রতারণা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা শারমিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তার অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ জুন দিন ধার্য করেন।
অভিযোগ গঠনের সময় ডা. সাবরিনাকে দোষী না নির্দোষ— এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি নির্দোষ। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিন মিয়া। গত বছরের ২৪ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক রিপন উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্মতারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম আরএইচ হক আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত আছেন তিনি।