পাকিস্তানের প্রভাবশালী রাজনীতিক মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুবার যোগাযোগ করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগের (এন) চেয়ারম্যান শাহবাজ শরিফ। মূলত সরকার গঠনে ফজলুরের দল জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সমর্থন চাইছেন মুসলিম লিগের সুপ্রিমো নওয়াজ শরীফ।
মাওলানা ফজলুর নওয়াজ শরীফকে সমর্থক দিয়ে সরকারের অংশীদার হবেন নাকি ইমরান খানের সঙ্গে বিরোধী দলে বসবেন সেটি দেখার অপেক্ষায় পাকিস্তানের জনগণ।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় ফজলুর রহমান তার বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন করেছেন। ইমরানের ক্ষমতাচ্যুতির পর শাহবাজকে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি।
একটি সূত্র জানিয়েছেন, ফজলুর রহমানকে আস্থায় রাখতে চাইছে মুসলিম লিগ। তাদের বিরোধী শিবিরে ভিড়তে দিতে চাইছে না।
এ বিষয়ে ফজলুর রহমান নিজের অবস্থান পরিস্কার করেননি। তিনি মুসলিম লিগের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছেন। বুধবার দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
জেইউআইয়ের নেতা মওলানা ফজলুর রহমান বিষয়টি নিয়ে সমমনা অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন বলে দলসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৩৩৬ আসনের মধ্যে সরাসরি নির্বাচন হয় ২৬৬ আসনে। বাকি ৭০টির মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৬০ ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ১০ আসন।
তিন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল ২৬৩ আসনে।
পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ইমরান খান সমর্থিত পিটিআই প্রধান ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ১০১ আসন, মুসলিম লিগ ৭৫ আসন, পিপিপি ৫৪ আসন, জেইউআই ৪ আসন, এমকিউএম ১৭, বিএনপি ২ আসন ও পিএমএল কিউ ৩ আসনে জয়ী হয়েছে।