দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন হওয়ার পর তাদের মধ্য থেকে মন্ত্রী আসতে পারেন বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি এমনটি জানান।
বর্তমান মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তবে কিছু মন্ত্রণালয় যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এগুলোতে কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের পর নারীদের মধ্যে থেকে মন্ত্রী আসতে পারেন।
এ মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে সহজে লেনদেন করা কঠিন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রক্রিয়া আছে। আমরা একটি বড় পরিকল্পনা করতে যাচ্ছি। তারা সুবিধাজনক প্রস্তাবগুলোতে, যেগুলো যেগুলো সম্ভব, তারা অবকাঠামোগত উন্নয়নে অংশ নিতে চায়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের ওখানে আমাদের কৃষি পণ্য যায়, তারা যেগুলো আমদানি করে, সেগুলো যাতে সহজলভ্য হয়, সে বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করেছেন। এখানে সমস্যা হলো, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো বিনিময় এবং এমনকি আমাদের যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি, যেটি উদ্বোধনে প্রেসিডেন্ট পুতিনও ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন, সেটির যন্ত্রপাতি আনতে গিয়ে আমরা বাধার মুখে পড়েছি। এ মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে সহজে লেনদেন করা কঠিন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে, কিন্তু আমেরিকাকে সরাসরি হোস্টাইল (বৈরী) করে বন্ধুত্ব আমরা চাই না। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই। আমাদের যে সম্পর্ক আছে, তার উন্নয়ন করতে চাই। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন (জো বাইডেন) চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। এখানে একটি অঙ্গীকার আছে। আমরা কারও সঙ্গে হোস্টাইল অ্যাটিটিউডে (বৈরী মনোভাব) যেতে চাই না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আরেকটি বিষয়ে কথা হয়েছে। দৃশ্যপট কখন কী হয়, আমেরিকার নির্বাচনে কী ফল আসবে, তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার না। ২০২৪ সালে আমেরিকার ফল কী হবে, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।