Can't found in the image content. ফুলবাড়ীতে প্রথমবার রঙিন বাঁধাকপি চাষে সাফল্য | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২৫ |

EN

ফুলবাড়ীতে প্রথমবার রঙিন বাঁধাকপি চাষে সাফল্য

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৪

ফুলবাড়ীতে প্রথমবার রঙিন বাঁধাকপি চাষে সাফল্য
শীতের অন্যতম সবজি বাঁধাকপি। এই সবজি ভীষণই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। আমরা সচারচর সবুজ রঙের বাঁধাকপির স্বাদ আস্বাদন করলেও; এবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষক বেগুনি বা রঙিন জাতের বাঁধাকপি প্রথমবারের মতো পরিক্ষা মুলক চাষ করে সাড়া ফেলেছেন।

ফুলবাড়ী কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, 'দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে' উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে প্রথম বারের মতো খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গা গ্রামের মিলন রানা নামের এক কৃষক  ২০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষা মূলক রঙিন (রুবি -কিং) জাতের বাঁধাকপি  চাষ করে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।

এ কপি চাষে দ্বিগুণের বেশি লাভ আশা করছেন কৃষক মিলন রানা। সাধারণ বাঁধা কপির তুলনায় দাম ও বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝে এ কপি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
কৃষক মিলন রানা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরমার্শ ও সহায়তায় আমি প্রথমবার ২০ শতক জমিতে এই কপি চাষ করেছি। কৃষি অফিসের সরবরাহকৃত ৭৫০টি চারা, জৈব বালাই নাশক, কেঁচো সার, ফেরোফিন ফাঁদ ও জৈব স্প্রেরের মাধ্যমে সম্পূণ অর্গানিক পদ্ধতিতে এই রঙিন কপি চাষ করেছি। এই বাঁধাকপিগুলো ৮০-৯০ দিনের মধ্যে পরিপক্ত হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। এ কপি দেখতে যেমন রঙিন, সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়া যায়। আমি সবেমাত্র কাঁটতে শুরু করেছি। বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখেছি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে এই কপি বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি এ কপি বিক্রি করে আমি লাভবান হব।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, 'দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে' প্রথমবারের মতো এবছর এই উপজেলায় পরীক্ষা মূলক একজন কৃষকের ২০ শতাংশ জমিতে রঙিন জাতের বাঁধাকপি রুবি-কিং চাষ হয়েছে। এই বাঁধা কপি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ। এটিতে রঙিন ও সবুজ শাকসবজির তুলনায় ভিটামিন ও আয়রন বেশি থাকে, চর্বি নেই, পাশাপাশি আলসার ও ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। ফলে এটি খাওয়া মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। 

তিনি বলেন,আমরা ওই কৃষকের কপি ক্ষেত পরিদর্শন করেছি, ফলন ভাল হয়েছে। এ বছরের আবাদ, চাহিদা ও লাভের পরিমাণ দেখে কৃষকদের আগ্রহ অনুযায়ী আগামী বছর চাষের পরিমাণ অনেক বাড়বে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।