পাকিস্তান পার্লামেন্ট নির্বাচনে চমক দেখালেন কারাবন্দি ইমরান খান। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) দলীয়ভাবে অংশ নিতে না পারলেও তার সমর্থনপুষ্ঠ প্রার্থীরাই জয় পেয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত ঘোষিত ২১৯টি আসনের ফলাফলে এখন পর্যন্ত ৯৬টি আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা। ৭০ আসনে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন। বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি ৫৩টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে।
ফলাফল ঘোষণার মধ্যেই সরকার গঠনে তোপজোড় শুরু করেছেন নওয়াজ শরীফ। লাহোরে নিজ আসনে জয় নিশ্চিত করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ একটি আসনে জয় পেলেও হেরে গেছেন অপর একটিতে।
এদিকে কারাবন্দী থাকায় জাতির উদ্দেশে ইমরানের এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) দ্বারা তৈরি ভাষণ প্রচার করা হয়েছে। যার ফলে আরও চড়েছে ভোটের উত্তেজনার পারদ। ভাষণে পিটিআই প্রধান বলেন, জনগণের ভোটে লন্ডন পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। এ সময় নওয়াজ শরীফকে পশ্চিমের দালাল আখ্যাও দেন তিনি।
কারাগার থেকে দেয়া অনুমোদিত ওই ভাষণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই প্রধান ধন্যবাদ জানান ভোটারদের। তিনি বলেন, নজিরবিহীনভাবে জাতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এতে জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই বিজয়ী হয়েছে। আমার প্রিয় পাকিস্তানি ভাই-বোনেরা, আপনাদের ওপর আমার পূর্ণ ভরসা ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল আপনারা ভোট দিতে ঘর থেকে বের হবেন, আপনারা আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছেন।
কারাবন্দি ইমরান খান বা তার দল পিটিআই এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। তবে কৌশল বদলে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন।