আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে হামাস। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল-থানি হামাসের সাড়াকে ‘ইতিবাচক’ বলে জানিয়েছেন।
এর আগে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাওয়ার পর হামাস জানিয়েছিল, প্রস্তাবটিকে গভীরভাবে বিবেচনা করে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাবে। অন্যদিকে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আগেই রাজি হয়েছিল ইসরায়েল।
এই আলোচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানাচ্ছে, এবারের যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি প্রাথমিকভাবে ৪০ দিনের হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে হামাসের হাতে থাকা বেসামরিক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেবে তারা। এরপর ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানো হবে এবং বাকি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা হাজি হামাদ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাস ইসরায়েলে বন্দী বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির মুক্তি দাবি করেছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চুক্তির বিষয়ে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি। হামাস ইতিবাচক মনোভাব দেখানোর পর আমরা এখন তাদের চূড়ান্ত সম্মতির অপেক্ষা করছি।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। সেই বিরতিতে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। বিপরীতে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দেড়শ’রও বেশি মানুষকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েলও।