রোববার শেষ হয়েছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বিশ্বমানবতার শান্তি, মুক্তি, নিরাপত্তা, ঐক্য এবং ইহ-পরলৌকিক কল্যাণ কামনা করে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আকুতি-মিনতি করে অশেষ রহমত কামনা করেছেন দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ।
প্রথম পর্বের ইজতেমা থেকে এবার আল্লাহর রাস্তায় তাবলিগের জন্য মোট জামাত বের হয়েছে ২৭৫০টি। এর মধ্যে দেশি জামাত ২৫৫৫টি ও বিদেশি জামাত ১৯৫টি।
এ জামাত বা দলগুলো এক চিল্লা (৪০ দিন), তিন চিল্লা (১২০ দিন) এবং আগামী ইজতেমা পর্যন্ত পূর্ণ এক বছরের জন্য দেশে ও বিদেশে ইসলামের দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ করবেন।
ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশ্বের ৫১টি দেশ থেকে ২ হাজার ৫৪০ জন বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে উর্দু ভাষাভাষী ৮৮২ জন, ইংরেজি ভাষার ৮১৯ জন, আরবি ভাষাভাষী ২৫৭ জন এবং বাংলা ভাষাভাষী ৫৮২ জন মেহমান তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন।
গত কয়েক বছর ধরে ইজতেমায় বিদেশিদের আসার হার আগের তুলনায় কিছুটা কম বলে মনে করছেন ইজতেমার আয়োজকরা। এমনকি ২০২৩ সালের চেয়ে এবার ইজতেমার প্রথমপর্বে বিদেশি মুসল্লি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে দুই ভাগে বিভক্ত তাবলিগের অনুসারীরা দুই পর্বে ইজতেমার আয়োজন করে আসছেন। যার প্রথম পর্বটি এ বছর ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব; তথা মাওলানা সাদ আহমেদ কান্ধলভী অনুসারীদের ইজতেমা।