Can't found in the image content. পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৬৬ সীমান্তরক্ষী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৬৬ সীমান্তরক্ষী

বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৪

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৬৬ সীমান্তরক্ষী
সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মি (এএ)-র তোপের মুখে তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৬৬ সদস্য পালিয়ে কয়েকটি ভাগে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

আশ্রয় নেওয়ার সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। আশ্রয় নেওয়াদের ৬ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতের গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।  মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে এ  ২ বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন সীমান্তবাসীরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। শুক্রবার একদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৩ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে লাগাতার সংঘাত চলছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর দুটি ক্যাম্প দখলের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ বলেন, তুমব্রু সীমান্তবর্তী ৩টি গ্রাম মানুষশূন্য হয়ে পড়েছে। পশুপাখি ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে মানুষজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেয়াদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, হঠাৎ করেই সীমান্ত পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। ভারি অস্ত্রশস্ত্রের শব্দে তুমব্রুতে থাকা যাচ্ছে না। আতঙ্কে সীমান্তবর্তী বসবাসকারী মানুষজন গ্রাম ছেড়ে দূরে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতের কয়েকটি গুলি ও মর্টারশেলের গোলা এসে পড়েছে রোববারও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এতে বাংলাদেশি একজন পুরুষ ও একজন নারী আহত হয়েছে। ভারি অস্ত্রের আঘাতে সীমান্তবর্তী কয়েকটি ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করেছে। 

এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের গুলি এসে পড়ে বাংলাদেশি ২ জন নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের একজন পুরুষ, অপরজন নারী। পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যানবাহন এবং জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

মোজাহিদ উদ্দিন আরও জানান, পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। সীমান্তে বিজিবি টহল এবং নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে।