দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে একসঙ্গে ৬৭১ জন নেতাকর্মী জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরের ১০টি থানার এসব নেতাকর্মীর পদত্যাগের ঘোষণা দেন ঢাকা মহানগরের উত্তরের সদ্য বহিষ্কৃত আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটিতে তৃতীয়বারের মতো ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে ব্যাপক ‘ভরাডুবির’ পর দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬৫ আসনে প্রার্থী দিলেও প্রায় ২৩০ জন দলীয় প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণায় খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না।
এদিকে, নির্বাচনের পর শুরুতে মতবিরোধ থাকলেও গত ১০ জানুয়ারি শপথ নেন জাতীয় পার্টির বিজয়ী ১১ জন সংসদ সদস্যরা। সবশেষ গত ১৮ জানুয়ারি সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় উপনেতার দপ্তরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভায় গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে (জিএম কাদের) দলের সংসদীয় নেতা নির্বাচন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ১৪ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি বিলুপ্ত করার পাশাপাশি দুই নেতাকে দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর দু’দিন আগেও গত ১২ জানুয়ারি জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবার ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পদে থাকা ৬৭১ জন নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করলেন।